মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্মলহীথ পার্কে ব্রিটিশ বাংলদেশী ইয়ং কালচারাল সোসাইটি মাটির পক্ষ থেকে প্রবাসে বেড়ে উঠা নবপ্রজন্মকে বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের প্রতিক আমাদের অহংকার আমাদের পতাকা ও আমাদের কন্ঠ জাতীয় সংগীতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।
বাংলাদেশের ৪৭তম স্বাধীনতা দিবসে ব্যতিক্রমি এ আয়োজনে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনে ব্যাপক সাড়া জাগে। বহির্বিশ্বে প্রথমবারের মত হাজার বর্গফুট পতাকা উত্তোলনের এ কর্মসূচীতে অংশ নিতে এদিন স্মল হীথ পার্কে প্রায় হাজারখানেক নারী-পুুরুষ-শিশুর উপস্থিতি ঘটেছিল। বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি হাজার বর্গফুট ব্রিটিশ পতাকাও সম্মিলিতভাবে উত্তোলন করা হয়। ৪৭টি লাল-সবুজ বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বার্মিংহামে বসবাসরত প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন বার্মিংহামস্থ সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জুলকার নায়েন। তার সাথে ছিলেন ব্রিটিশ এমপি জেস ফিলিপ। এ সময় সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। ইথারে আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি… এ গানের প্রতিধ্বনিতে পুরো স্মল হীথ জুড়ে বাঙালীরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আমেজ পান।
বহির্বিশ্বে প্রথমবারের মত এক হাজার বর্গফুট বাংলাদেশী ও ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলনের এ ব্যতিক্রমি কর্মসূচী যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে সকল মত ও পথের নারী-পুরুষ-শিশুসহ প্রায় সহ¯্রাধিক দেশপ্রেমী মানুষ দেশের টানে গানের সুরে সুরে সম্মিলিতভাবে তুলে ধরেন। পতাকায় মৃদু বাতাসে ঢেউতোলা দৃশ্য অজানা এক আবহ সৃষ্টি হয় স্মল হীথ পার্কজুড়ে।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ বার্মিংহামের স্মল হীথ পার্কে প্রায় ১০ হাজার স্বাধীনতাপ্রিয় বাঙালীর উপস্থিতিতে শপথ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সমাবেশে প্রবাসী বাঙালীরা স্বাধীনতার সপক্ষে শপথ নেন, বহির্বিশ্বে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা তুলেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেই দিনটি প্রবাসীদের জন্য অনন্য একটি দিন। তাই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্মল হীথ পার্কে হাজার ফুট পতাকা উত্তোলন করে আরেকটি ইতিহাসের সূচনা করল বার্মিংহামের ব্রিটিশ বাংলদেশী ইয়ং কালচারাল সোসাইটি মাটি।
সম্মিলিতভাবে হাজার বর্গফুট পতাকা প্রদর্শনের পূর্বে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সন্ত্রাসী হামলা ও বাংলাদেশের সিলেটে সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে নওয়াব ইম্পেরিয়াল হলে অনুষ্ঠিত হয় মাটির গান। এতে স্থানীয় শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাটির কো-অর্ডিনেটর ও হাজার ফুট পতাকা উত্তোলনের উদ্যোক্তা আশরাফুল ওয়াহিদ দুলাল।
কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on ঐতিহাসিক স্মলহীথ পার্কে বাংলাদেশের হাজার ফুট পতাকা উত্তোলন