ফখরুল আলম, লিভারপুল প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের স্কুল গুলোর মধ্যে দক্ষতার মাধ্যমে জ্ঞান এবং দক্ষতার মাধ্যমে জীবন ও কাজের মনোন্নয়নের লক্ষ্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে কানেক্টিং ক্লাসরুম কর্মসূচি উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি টিম পরিদর্শন করে গেল লাংকাশায়ারস্থ ‘আওয়ার লেডি কুইন অব পিচ ক্যাথলিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’।
শিক্ষক ও নেতৃত্বদানে গুণবলী সম্পন্ন শিক্ষকদের পেশাদারি দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্য ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন এর নেতৃত্বে এ টিম এক সপ্তাহের সফরে যুক্তরাজ্য আসে গত সোমবার। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আওয়ার লেডি কুইন অব পিচ ক্যাথলিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উভয়ের মধ্যে ক্রেস্ট প্রদান করা। কানেক্টিং ক্লাসরুম যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলাপমেন্ট বিভাগের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব জুড়ে করা একটি শিক্ষা কর্মসূচি। যা জ্ঞান, দক্ষতা, জীবন ধারা ও কাজের মাধ্যমে তরুণদের বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থানীয় ও বৈশ্বিক ভাবে ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে। দুই দেশের শিক্ষার্থীর মধ্যে স্কাইপি যোগাযোগ মাধ্যমে গড়ে তোলা বিশাল নেটওর্য়াকের মধ্যে দিয়ে উভয়ের মাঝে পারস্পরিক উন্নয়নে যথেষ্ট এগিয়ে আসছে। শিক্ষকরা আলোচনায় বলেন- এতে করে দুই দেশের মধ্যে সেতু বন্ধন সহ শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। একর্মসূচি একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনীয় সব দক্ষতা অর্জনে আমাদের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করছে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন লেডি কুইন অব পিচ ক্যাথলিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এর প্রধান শিক্ষক জনাথন স্মার্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মার্ক শ্যাডন, ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ কবিরুল ইসলাম, লিভারপুল বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, শিক্ষক জেরার্ড মনাঘান, শিক্ষার্থী ক্লর্য়ি ডেভিস প্রমুখ।
সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন এক সাক্ষাতকারে বলেন – ‘ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে কানেক্টিং ক্লাসরুম কর্মসূচি উপলক্ষে আসা যুক্তরাজ্যর লাংকাশায়ারস্থ ‘আওয়ার লেডি কুইন অব পিচ ক্যাথলিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ সত্যিই প্রসংশার দাবীদার। তাদের শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা, আধুনিক প্রযুক্তি আর সৃজনশীলতা যা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি’। এই সফল সফরে তারা অনেক কিছু তাদের শিক্ষার্থীর জন্য সঞ্চার করে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামীতে বাংলাদেশে থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসে সরেজমিনে ভিজিট করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন স্কুলের প্রতিটি ক্লাস ঘুরে যে অভিজ্ঞতা হয়ে তা উনার নিজ স্কুলে প্রয়োগ করবেন। যাতে করে তারাও যেন আর্ন্তজাতিক মানের একটি স্কুলে উন্নতি করতে পারেন।
বিদ্যালয়ের যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সাথে স্কাইপির মাধ্যেমে যোগাযোগের মাধ্যমে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়েছে ওই সমস্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে বাংলাদেশ থেকে আনা কলম, ফুল সহ বিভিন্ন প্রকার গিফট বিতরণ করা হয়। সব শেষে চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দরা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষর কাছে তাদের ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on ব্রিটিশ কাউন্সিলের কানেক্টিং ক্লাসরুম কর্মসূচি: দুই দেশের মধ্যে সেতু বন্ধন এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি করছে