বাংলাভয়েস ডেস্ক:
বার্মিংহাম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
যুক্তরাজ্যে সিওপিডি নিরব মরণঘাতি রোগ হিসেবে বিশেষজ্ঞ মহলে চিহ্নিত হলেও এ ব্যাপারে নেই পর্যাপ্ত সচেতনতা। বিশেষ করে বাংলাদেশী কমিউনিটির উদাসীনতা এনএইচএসের মতে বিপর্যয়কর। তাই এনএইচেএস এব্যাপারে একটি গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি এনএইচএস এর সহযোগিতায় এ গবেষণা প্রজেক্টটি পরিচালিত হচ্ছে। তহবিল যোগান দিচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউর অব হেলথ এন্ড কেয়ারি রিসার্চ (এনআইএইচআর)।
প্রতি বছর ১.৪ মিলিয়নমানুষ সিওপিডি রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রতি বছর মারা যান প্রায় ৩০ হাাজার। এরমধ্যে ৮০ শতাংশই বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বলে উল্লেখ করা হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর বার্মিংহামে আয়োজিত এক সেমিনারে।
সেমিনারে সিওপিডি বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে এনএইচএস এর তত্ত্বাবধানে্ এ রোগ বিষয়ক প্রতিকারে করণীয় নির্ধারণে গবেষণায় পরিচালিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই গবেষণায় বাংলাদেশী কমিউনিটির এ রোগ সম্পর্কিত সচেতনতা, অবস্থান সরাসরি জেনে তা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি হবে। তাই এই রিসার্চ-গবেষণায় সকল বাংলাদেশী কমিউনিটির অংশগ্রহণের গুরুত্ব অত্যাধিক।
সেমিনারে বাংলাদেশী কমি্উনিটির বিপুল উপস্থিতি ছিল। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র প্রজেক্ট লিড ট্রেসি ক্রিপস এবং হেলথ রিসার্চ লিড ফ্রান্সেস আর্লি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পিপিআই (Patient Participation Inclusion” রোগীর অংশগ্রহণ অন্তর্ভুক্তি”) কামাল এমসি রহমান এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পিপিআই মীর আব্দুল গফুর।
উল্লেখ্য সিওপিড়ি (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমনারি ডিজিজ।) এটি ফুসফুসজনিত একটি রোগ। এটি যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় সর্বাধিক ফুসফুসের রোগ হিসেবে গণ্য।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল-এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এর স্পন্সরশীপ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউর অব হেলথ এন্ড কেয়ারি রিসার্চ (এনআইএইচআর) এর অর্থায়নে আপটার্ন নামে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন অর্থাৎ সিওপিডি ফুসফুস সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কিভাবে ফুসফুসের যত্ন নিবেন সে পদ্ধতি শেখানো।
বাংলাদেশী এবং আফ্রো-ক্যারিবিয়ানরা যাতে এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে পারেন এই উদ্দেশ্যে এই গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে বলে সেমিনারে আয়োজকরা জানান।
কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on ফুসফুস জনিত রোগ নিযন্ত্রণে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সেমিনার অনুষ্ঠিত