২০ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , সোমবার, ৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ রজব, ১৪৪৬ হিজরি।
২০ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , সোমবার, ৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ রজব, ১৪৪৬ হিজরি।

ড. তোজাম্মেল টনি হক এর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাভয়েস ডেস্ক:

ড. তোজাম্মেল টনি হক এর স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখছেন- বার্মিংহামস্থ বাংলাদেশ এসিসটেন্ট হাইকমিশনের হেড অব চ্যান্সারি স্বর্ণালী চন্দ।

এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন ডক্টর তোজাম্মেল টনি হক। ছিলেন শিক্ষাবিদ এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদ। যুক্তরাজ্যে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে নিয়ে কমিউনিটির যে কোন প্রয়োজনে সবসময় নিঃস্বার্থভাবে সামনের কাতারে থাকতেন মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাবসের অন্যতম এ সংগঠক। তার অভাব এদেশে বাংলাদেশী কমিউনিটি প্রতি মুহুর্তেই অনুভব করবে।

প্রবাসে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ২৮ মার্চ উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডক্টর তোজাম্মেল টনি হক এমবিই এর স্মরণ সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার বার্মিংহামের স্হানীয় এক হলে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপাতিত্ব করেন ২৮ মার্চ উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি বশির মিয়া কাদির। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন ২৮ মার্চ উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মসুদ আহমদ ও জিএসসির সেক্রেটারী খসরু খান।

স্মরণসভায় বক্তব্য রাখছেন মরহুমের স্ত্রী শিলা হক

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা কামরুল হাসান চুনু। এসময় অতিথি হিসেবে উপাস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন বার্মিংহামের চীফ কাউন্সিলর স্বর্ণালী চন্দ, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য আইয়ূব খান, কাউন্সিলর স্যার আলবার্ট বর, কাউন্সিলর জিয়াউল ইসলাম, কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার, ফয়জুর রহমান চৌধুরী এমবিই, মাফিজ খান, তাফাজ্জাল হোসেনে চৌধুরী, ড. আব্দুল খালিক, মোহাম্মদ মারুফসহ আরো অনেকে।

ড. তোজাম্মেল হক এর মৃত্যু কমিউনিটির এক দরদী নেতার মৃত্যু হিসেবে আখ্যায়িত করে বক্তারা মরহুমের বর্ণাঢ্য জীবন থেকে স্মৃতিচারণ করেন। সকল বক্তাই তাকে একজন যোগ্য অভিভাবক হিসেবে আখ্যায়িত করে তার অভাব অচিরেই পূরণ হবার নয় বলে মন্তব্য করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি শিক্ষকতা করতেন। কর্মব্যস্তার ফাঁকে, ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব এবং মূলধারার উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ এবং সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ যুক্তিগ্রাহ্য এ্বং তথ্যপূর্ণভাবে তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে ব্রিটিশ মূলধারায় জনমত তৈরিতে জোরালো ভূমিকা রাখেন।

মহান একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বিকৃতি এবং জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবিও জোরালো ভাবে ইউনেস্কোয় উপস্থাপন এবং এর সপক্ষে সিদ্ধান্ত আদায়েও তার ভূমিকা ছিল মুখ্য।

স্মরণসভার দর্শকসারির একাংশ

স্মরণ সভা উপলক্ষে একটি স্মারক প্রকাশিত হয় এতে স্মৃতিচারণমুলক লেখার পাশিাপাশি মরহুমের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে বাংলা ইংরেজিতে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মরহুমের স্ত্রী শীলা হক স্মরণ সভা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ড তোজাম্মেল টনি হক এর কবর জিয়ারতের জন্য অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা দোয়া করেন মাওলানা সিদ্দেক আহমদ।

সংবাদটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on print
Print
Share on email
Email
Share on whatsapp
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on ড. তোজাম্মেল টনি হক এর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

আপনি কি ভাবছেন ? আপনার মতামত লিখুুন।

এই বিভগের আরো সংবাদ

সর্বশেষ