২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি।
২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি।

কবিতা

10631_1

 

ফ জ ল শা হা বু দ্দী ন

এইসব স্বাধীন মানুষেরা

 

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন আমাকে

কেবলি বিপন্ন করে প্রতিদিন

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন আমার এই দেশকে

কেবলি বিপন্ন করে প্রতিদিন

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন আমাদের সকল চিন্তাকে

কেবলি বিপন্ন করে প্রতিদিন

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন আমাদের সংস্কৃতিকে

কেবলি বিপন্ন করে প্রতিদিন

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন আমাদের বিশ্বাসকে

কেবলি লণ্ডভণ্ড করে প্রতিদিন

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন আমাদের স্বাধীনতাকে নিয়ে

কেবলি ছিনিমিনি খেলতে চায় প্রতিদিন

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন নিজেদের অস্তিত্বকে কেবলি

বিপন্ন করে প্রতিদিন

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন আর জানে না

বিধাতা সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন আর বুঝতে চায় না

আগুন নিয়ে যারা খেলে তারা সব ভস্ম হয়ে যায় একদিন

এইসব স্বাধীন মানুষেরা এখন আর বুঝতে পারে না

মত্ততার স্বাধীনতা আত্মসংহারেরই অন্য নাম

 

ফ র হা দ ম জ হা র

যদি মরে যাই

 

যদি মরে যাই, মুহূর্তটুকু না জেনে

কতোটা বাজল কাকে করি জিজ্ঞাসা?

আজ কি তারিখ? আজ কি আবারও হরতাল

আজ কি আবারও পুলিশ আমাকে মারবে?

 

যদি মরে যাই স্থানটুকু যদি না চিনি !

কি করে খবর পাঠাব তোমার কাছে?

আজনবি তুমি এ শহরে আজও, মেয়ে

কি করে মৃতের সন্ধান পাবে গ্রামে?

 

যদি মরে যাই মসজিদ যদি না চিনি

কি করে জানব লাশ নিয়ে যাবে কারা?

কার কাঁধে চেপে যাবো সে গোরস্থানে

গোর খাদকেরা খুঁড়েছে যেখানে মাটি?

 

যদি মরে যাই, কি করে জানব আজ

রাত নাকি দিন সকাল কিম্বা সন্ধ্যা

কি করে জানব যে লোবান পুড়ে গেল

তার ছাইটুকু কিভাবে কোথায় ফেললে?

 

 

কে জি মো স্ত ফা

আরশোলা

 

আজকাল কোন কিছুই আমাকে তেমন

স্পর্শ করে না, স্পর্শ করে না তোমার

কোনো অভিযোগ, গঞ্জনা বা হা-হুতাশ

আমাকে স্পর্শ করে না বাজারদর, বিক্ষোভ, সেøাগান

কোন বিপর্যয়, দুঃখ অথবা বিষাদ,

আমাকে স্পর্শ করে না আকস্মিক বিস্ফোরণ,

সন্ত্রাস, সড়ক দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক কিংবা নারীনির্যাতন;

প্রতিনিয়তই দুর্যোগের আবহাওয়া

বায়ুমান যন্ত্র যেন বদলাবে না আর।

 

বেঁচে থাকা জীবনের সর্বোচ্চ সীমায়

সম্পাদকীয় টেবিলে বসে স্পর্শ করি

পৃথিবীর কাছ থেকে পাওয়া

প্রতিদিনের যাবতীয় বিষ

ছোট্ট জায়গায় বসে পাণ্ডুলিপি হাতে

চার দিকে শুনি হাহাকার

মোবাইলে নাটকীয় সংলাপ

মানববন্ধনে অবিরাম চিৎকার।

 

কখন দেয়াল বেয়ে নেমে আসে আরশোলা

দিনের ঘটনা খসে পড়ে নাকের ডগায়

শান্তভাবে প্রসেশন চলে যায় নীরবে নিঃশব্দে

যেন এক একটি শোকমিছিল

ঢুকে পড়ে কবরের দরজায়!

 

আ সা দ চৌ ধু রী

কী ভীষণ দ্বিধা

 

রক্ত শুধু কি শরীরের?

পাথর ভেঙে নরম জল

কী চঞ্চল, কী উজ্জ্বল,

ম্লান অহঙ্কার হীরের।

 

দুঃখ ছাড়া কোনো সত্য

প্রকাশ পায়? সুন্দর যে

দু®প্রাপ্য, বেশি দর যে;

দ্বিধায় কাঁপি, তিনি সৎ তো।

 

নারীর যদি তারিফ করি

তার বাহারী রূপসুধার

গচ্চা দিয়ে টাকাকড়ির

শেষ হবে না শোভন ধার।

 

ভাগ্যবান সমঝদার

দুর্ভাগা যে সে লম্পট?

দুয়ার ভেঙে অকৃতদার

কোথায় দিলো যে চম্পট।

 

মু হ ম্ম দ নূ রু ল হু দা

মানুষেরা ভুলে গেছে

 

মানুষেরা ভুলে গেছে মানুষের ভাষা

মানুষ নকল করে নেকড়ের স্বর,

আগুন লাগিয়ে নিজে আপনার ঘরে

মানুষ রচনা করে আপন কবর।

 

পশুরা মানুষ হতে চায় না এখন,

যেহেতু মানুষগুলো পশু হতে চায়;

ক্ষমতা হারালে যারা হাতজোড় করে,

ক্ষমতা পেলেই তারা বাঘ হয়ে যায়।

 

সহজে দেখে না ফিরে নিজের অতীত,

দেখে না সে চোখ খুলে নিজ ভবিষ্যৎ,

নগদ প্রাপ্তির লোভে হারিয়ে সংবিৎ

মানুষ ভাঙতে পটু আপন শপথ।

 

ক্ষমতা ও অক্ষমতা

রাজপথে মুখোমুখি গাড়ি :

রাজদণ্ডে দণ্ডধর,

দণ্ডহীন পথের ভিখারি।

সংবাদটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on print
Print
Share on email
Email
Share on whatsapp
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on কবিতা

আপনি কি ভাবছেন ? আপনার মতামত লিখুুন।

এই বিভগের আরো সংবাদ

সর্বশেষ