২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শুক্রবার, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি।
২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শুক্রবার, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি।

গণতন্ত্র কি হেরেই গেল!

গণতন্ত্র কি হেরেই গেল!

মাসুদ মজুমদার

 

ক. অপহৃত বা গুম হয়ে সালাহউদ্দিন কি হেরে গেছেন? না, তিনি হেরে যাননি, হেরে গেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। গণতন্ত্র হেরে গেলেও কি তিনি জিতবেন? না, জিতবেন না। তার পরও জনগণ এ জবাবটা পাওয়ার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করবে। খালেদা জিয়া লাগাতার অবরোধ ও থেমে থেমে হরতাল দিয়ে লাভবান হননি। জনগণ তার কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হয়নি। অতএব, আন্দোলন ফপ মেরেছে- সোজাসাপটা এমন মূল্যায়ন প্রধানমন্ত্রী ও তার অনুগতদের। অন্য দিকে বিএনপির পক্ষপুট থেকে জবাবি বক্তব্য দেয়া হলো- জনগণের অবস্থান থেকে কথাটা বলুন এবং বুঝুন। তখন বুঝবেন- আপনারা কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। টের পাবেন জনগণ থেকে আপনাদের অবস্থান কত যোজন যোজন দূরে। সিংহাসনে বসে, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে থেকে গণবিচ্ছিন্ন কথা বলাই স্বাভাবিক। জেতা অনেক কঠিন। জনগণের রাজনৈতিক অধিকার হত্যা করে কেউ কোনো দিন জিততে পারেনি।

দুই দলের দুই ধরনের মূল্যায়ন নিয়ে আমাদের তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। সবদলীয় মূল্যায়ন বস্তুনিষ্ঠ না-ও হতে পারে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট এবং ঋজু। গণতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে সরকার যখন গণতন্ত্রের শিশুটিকেই হত্যার জন্য উদ্যত হলো, তখন খালেদা জিয়া আপসহীন অবস্থান নিতে বাধ্য হলেন। কাউকে না কাউকে এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। আওয়ামী লীগ ও জামায়াত যখন এরশাদকে বৈধতা দিয়ে নির্বাচনে চলে গেল, তখন খালেদা জিয়া এ ধরনের অনড় অবস্থান না নিলে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান হতো কিভাবে। জেনারেল নূর উদ্দীন এরশাদকে গুডবাই দেয়ার কথা ভাবতেন কি? এ দেশে ঐতিহ্যগতভাবে কিছু বিষয় স্পষ্ট। আইয়ুব শাহীর সেনাসমর্থন ছাড়া ’৫৮ সালে ইস্কান্দার মির্জা হটে যাননি। আইয়ুব হটে যাননি গণ-আন্দোলনের প্রেক্ষিত ছাড়া, যুদ্ধবাজ ইয়াহিয়াও স্বেচ্ছায় ক্ষমতায় আসেননি। আবার জনগণের ধাক্কা ছাড়া এবং একাত্তরের দায় না নিয়ে ভুট্টোকে পথ ছেড়ে দেননি ঘাতক ইয়াহিয়া। ’৭৫ হয়নি অংশত সেনাসমর্থন ছাড়া। ৭ নভেম্বরেও সেনা উপস্থিতি দৃষ্টিগ্রাহ্য। ’৮২ সালে সৈনিক এরশাদ কদম বাড়িয়েছেন রাজনীতির একটা অংশের আশীর্বাদ ও সম্প্রসারণবাদের সমর্থনে। এটাই বাস্তবতা। এক-এগারো নিয়ে আর কী-ই বা বলার থাকতে পারে।

কোনো রাজনীতিবিদ যদি গণতন্ত্রের ভাষা প্রয়োগ না করে, গণতন্ত্র চর্চা না করে গণতন্ত্রের ভাষাকে জংলি কায়দায় পদদলিত করেন, তারা কিভাবে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারেন! তাদেরকে গণতান্ত্রিক বলাই বা হবে কেন; এ সরকার গণতন্ত্রের ভাষা বুঝতে চায় না। তারা গণতান্ত্রিক আচরণ করে না। তাই গণতন্ত্রের ভাষায় আন্দোলন-সংগ্রাম মূল্যায়ন অর্থহীন। সত্যনিষ্ঠ হলে, বুদ্ধির সততা দেখালে বলতে হবে খালেদা জিয়া এবার দু’টি নগদ রাজনৈতিক অর্জন নিয়ে এখনো বর্ডার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি শক্ত অবস্থান না নিলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নামের লজ্জাটাও লজ্জা পেত। সরকার রাজনৈতিক সঙ্কট আড়াল করতে চেয়েছে, পারেনি। সেটাও উদোম করে দিলেন খালেদা জিয়া। ইতিহাস এই সত্যটি ভুল করেও ভুলে যাবে না।

রাজনৈতিক অর্জনের ক্ষেত্রে হালখাতাকে সব সময় চৈত্রসংক্রান্তিতে মেলানো বণিকের হিসাবের জাবেদা খাতার সাথে মেলানো যায় না। নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে গুণগত অর্জনটি ধরা দেয়। ক্ষমতার পালাবদল এ ক্ষেত্রে গৌণ। এ জন্যই বলা হয়, জনগণের ন্যায়সঙ্গত কোনো আন্দোলন কোনো যুগে ব্যর্থ হয়নি। হয় না। হবেও না। সাফল্য-ব্যর্থতার বিষয়টি সময় মেপে বলে দেয়াও সম্ভব নয়। তবে জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিজয় যে হাত ধরেই আসুক, খালেদা জিয়ার অতীত ও আজকের

অবস্থানটি আর কারো মাধ্যমে পূরণ হওয়ার নয়। সেটা বিবেচনায় নিয়েই তার ক্ষমতাচর্চার সাফল্য-ব্যর্থতার খতিয়ান দেয়া সম্ভব। আমরা সে দিকটায় যাবো না। আমরা শুধু সৎভাবে উচ্চারণ করব, কাউকে না কাউকে প্রতিকূল পরিবেশেও দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সেই দাঁড়িয়ে থাকাই অর্থবহ অর্জন। পুরো দৃশ্যমান অর্জন একটু বিলম্বেই আসে।আল্লামা ইকবাল বিলম্বে শ্রেণিকক্ষে ঢুকলে শিক্ষক তাকে মৃদু ভর্ৎসনার সুরে বলেছিলেন- তুমি বিলম্বে এলে। ইকবালের জবাব ছিল- সৌভাগ্য সব সময় বিলম্বেই আসে (ইকবাল অর্থ সৌভাগ্য)। বিজয়ও রোজ সকালে আসে না। ভাঙাগড়ার চিরায়ত প্রাকৃতিক নিয়মে নৈতিকতা ও মৌলিক মানবীয় গুণাবলিও মূল্যবোধের হাত ধরে আসে। খালেদা জিয়ার ক্ষমতাচর্চা ও রাজনীতি নিয়ে যেকোনো মানুষ মন্তব্য করতে পারেন- তবে এই দেশে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে তিনিই গণতন্ত্রের মানসকন্যা। তার রাজনীতির অন্ধ ভক্ত ও চাটুকার না হয়েও এ সত্যটি উচ্চারণ করা বোধকরি সততা ও যুক্তির দাবি। তা ছাড়া হার-জিতের ধারণা খেলাধুলায় আছে। রাজনীতিতে স্থূল অর্থে থাকলেও মৌলিক ক্ষেত্রে নেই। কারবালায় হোসাইন শহীদ হলেও কার্যত মৃত্যু ঘটে ইয়াজিদের। আমাদের গণতন্ত্র হেরে গেলে শেখ হাসিনা জিতবেন কোন অর্থে।

খ. কোনো বিজয় তাৎক্ষণিক হয় না, তাৎক্ষণিক হয় অতিলৌকিক কিংবা অলৌকিক কিছু। সেটা বাংলাদেশেও ঘটেছে। ভবিষ্যতেও ঘটবে না- সেটা আমরা বলব কী করে। প্রকৃতি চলে স্বাভাবিক নিয়মে, শক্তির জয় দুর্বলের ক্ষয় নিয়মের অংশ। ব্যত্যয় ঘটান সৃষ্টিকর্তা। এ জন্য কার্যকারণও ঘটান সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং- এটাই অতি প্রাকৃতিক বা কুদরত। আবু লাহাবের পতনের কথা পবিত্র কুরআনে জানানো হয়েছে। সেটা ছিল মক্কা যুগের বার্তা। ফলাফল ঘটল হিজরতের পরে বদরের যুদ্ধের সাত দিনের মাথায়। আবু লাহাব কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হলো, তার পরের ঘটনা- ধ্বংস ও অনিবার্য পরিণতি। হুদায়বিয়ার সন্ধি হলো ষষ্ঠ হিজরিতে। মক্কা বিজয় হলো দুই বছর পর অষ্টম হিজরিতে। হুদায়বিয়ার সন্ধিকে যারা বলল আপস, কুরআন তাদের জবাব দিলো বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করে। আয়াত এলো সন্ধি ও মক্কা বিজয়ের মধ্যবর্তী সময়ে। আবরাহার পতনের ঘটনা ছিল রাসূলের জন্মের ৭০ দিন আগে। আয়াত এলো শিক্ষণীয় ঘটনা হিসেবে রাসূলের নবুওয়তি যুগে। রাসূল স. বদরের যুদ্ধে জিতবেন, রোমানরা পারস্যের ওপর জয় লাভ করবে- এটা ছিল ঘটনা ঘটার আগের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক ওহি। যা ঘটেছে বদরের যুদ্ধে রাসূল যুগে, বাকিটা হজরত উমর যুগে। আজকের ইস্তাম্বুল, রোমানদের কনস্টান্টিনোপল, রাসূল যুগের ফসতুনতুবিয়া তারই প্রমাণ।

আমরা প্রসঙ্গটা টানলাম শুধুই উপমা হিসেবে। যারা জয়-পরাজয়ের ভাবনায় আছেন, তারাই বলেন ’৫২-তে আমাদের স্বাধীনতার ভ্রুণ জন্ম নিয়েছে। ’৬২-তে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের পথ ধরেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। এভাবেই স্বাধীনতা অর্জন। একই ভাবে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবই ’৪৭-কে অনিবার্য করেছে। ১৯০৫ সালের বঙ্গ বিভাগ বাংলার নতুন অবয়ব দিয়েছিল। ’৪৭ হলো বলেই একাত্তরে এই মানচিত্রে আমাদের পতাকা উড়ল। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই দীর্ঘতর হয়। সেটাই স্বাভাবিক। তাই সাগরের ঢেউ গোনার মতো সময় গোনা অর্থহীন। কালের বা সময়ের শপথ হচ্ছে- মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, যারা ন্যায়নিষ্ঠ ও ধৈর্যের পথে রয়েছে তারা ছাড়া।

গ. এবারকার গণতন্ত্র উদ্ধার ও ভোটাধিকার আন্দোলনে নানাভাবে শরিক থাকার চেষ্টা করছেন অনেকেই। কেউ বিবৃতি দিয়ে, কেউ সংলাপ-সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে, কেউ বা টকশোর আলোচনায় অংশ নিয়ে। অনেকেই লিখে ভূমিকা পালন করছেন। এনজিও, মানবাধিকার সংস্থা-সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠনসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ঢাকা অফিসের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। কারো ভূমিকা প্রত্যক্ষ, কারো পরোক্ষ। বিশ দলীয় জোটের বাইরে রাজনৈতিক শক্তির ভূমিকাও গ্রহণযোগ্য। তবে যারা দুই নেত্রীকে সমান ভাবেন, সমান্তরাল অবস্থানে রেখে বক্তব্য দেন, বিবৃতি দেন তাদের অ্যাজেন্ডা অস্বচ্ছ এবং আলাদা। তারা চিন্তা, বুদ্ধি ও রাজনৈতিক সততাকে অবজ্ঞা করছেন। কেউ বা নিরপেক্ষ থাকার ভান করে এমনটি করলেও তারা সত্যটা লুকাচ্ছেন।

একজন গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক ঠুকছেন, গণতন্ত্রের কাঁচা ধানে মই দিচ্ছেন, গণতন্ত্রের চাষবাস বন্ধ করে দিচ্ছেন; সংবিধান, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার ও সাধারণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারকেও পদানত করে চলেছেন। অন্যজন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। জেল-জুলুম, হুলিয়া, হত্যা, গুম, হামলা-মামলা, অপহরণ ও বালির বাঁধ সরিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবার চেষ্টা করছেন- এখানে দু’জনের মিল কোথায়। তা হলে তারা দুই নেত্রীকে সমানভাবে আক্রমণের মাজেজা কী? নিশ্চয় অসাধুতা ছাড়া এখানে কোনো স্বচ্ছ রাজনীতি থাকতে পারে না। রাজনীতির ভাষা হতে হয় স্বচ্ছ। উল্লেখযোগ্য, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া চাপে রয়েছে। বাধ্য হচ্ছেন ভারসাম্য হারিয়েও সরকারকে সার্ভিস দিতে। তবে কয়েকটি মিডিয়ার অ্যাজেন্ডাই সরকারকে নিরাপদ রাখা। দলান্ধ এই ধরনের ভূমিকার জন্য এরা একসময় মাসুল গুনবেন। অপাঙ্ক্তেয় হবেন।

বি. চৌধুরী, ডক্টর কামাল, আসম রব, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীরা গণতন্ত্রের পক্ষে। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার পক্ষে জানবাজি রেখে অবস্থান নিতে পারতেন। তারা ভাবছেন, ফসল তুলবেন খালেদা জিয়া তারা ঝুঁকি নেবেন কেন। মাহমুদুর রহমান মান্নার ঝুঁকি তারা নিতে চাননি। অবশিষ্ট ডান, বাম ও ইসলামপন্থী যারা মিউমিউ করছেন তারা কেউ ইতিহাস হবেন না, স্রোতে আছেন এই যা। রাজনীতির ভাষা হতে হয় মোটা দাগে স্বচ্ছ ও স্পষ্ট। দু’দিল বান্দা কালেমা চোর, না পায় বেহেশত, না পায় গোর। রাজনীতি যদি জাতীয়ভাবে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন বুশের মতো বলতে হয়- পক্ষ দু’টি- স্বপক্ষ, নয়তো প্রতিপক্ষ। যাদের অতীত গৌরবের, বর্তমান আলোচনার, ভবিষ্যৎ ইতিহাসে ঠাঁই নেয়ার- তাদের শক্ত ও দৃঢ়ভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। ফল জনগণ পাবে। দেশ পাবে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি। আপনি না হয় ক্ষমতার ভাগ না-ই বা পেলেন। ইতিহাস হয়ে রইলেন।

কোনো কোনো সময় আমরা দুই নেত্রীর পক্ষে সমানভাবে অবস্থান নিয়েছি। প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও নেবো। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়, ’৮৮-এর নির্বাচনে ডিগবাজি দেয়ার আগে ও পরে দুই নেত্রীকে আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে সমানভাবে সমর্থন জুগিয়েছি। কারো নিজস্ব রাজনীতি, দলীয়নীতি আমরা বিবেচনায় নিইনি। গণতন্ত্র জনগণ ফিরে পেয়েছিল। দুই নেত্রীও এর সুফল ভোগ করেছেন। এক-এগারোর সরকার দুই নেত্রীকে মাইনাস করে দিতে উঠেপড়ে লেগেছিলো। আদাজল খেয়ে তাদের ইমেজ ক্ষুণ্ণের হেন ঘৃণ্য কাজ নেই করেনি। মামলায় জড়িয়েছে। গ্রেফতার করেছে। বিদেশে যেতে এক নেত্রীকে বাধ্য করেছে। অন্য নেত্রীকে না পেরে হতাশ হয়েছে। একজনের শক্ত অবস্থানের সুফল অন্যজন পেয়েছেন। শেখ হাসিনা সেই সব ঘৃণ্য মামলা তুলে নিয়ে খালেদা জিয়ার মামলা সচল করতে চান। এ কেমন রাজনৈতিক সততা। অথচ আমরা দুই নেত্রীর পক্ষে এতটাই অনড় অবস্থান নিয়েছিলাম, মৃত্যুঝুঁকি পরোয়া করিনি। গণতন্ত্র অংশত ফিরল। সেই নেত্রীর একজন রাজপথে, অন্যজন মসনদে। একজন নবাব সিরাজউদ্দৌলা হয়ে থাকতে চান, অন্যজন তা থাকতে চান না। তাই অন্যরা নিরপেক্ষতার নামে বর্ণচোরা হয়ে দুই নৌকায় পা দিয়ে মীরজাফরের তালিকায় নাম উঠাতে যাবেন কোন দুঃখে! সত্য পুরোটাই সত্য, অর্ধসত্য বলে কোনো কিছু নেই। সেটা সান্ত্বনা দেয়া এবং নেয়ার ভান মাত্র।

সংবাদটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on print
Print
Share on email
Email
Share on whatsapp
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on গণতন্ত্র কি হেরেই গেল!

আপনি কি ভাবছেন ? আপনার মতামত লিখুুন।

এই বিভগের আরো সংবাদ

সর্বশেষ