জিয়া তালুকদার
বৃটেনে হঠাৎ করেই গত সপ্তাহে বৃটিশ পেট্রোলিয়াম কোম্পানী (বিপি) ঘোষণা দেয় যে লরি ড্রাইভার সংকটের কারণে তাদের কিছু পাম্প বন্ধ রাখবে। যেই ঘোষণা তখন থেকেই চারদিকে শুরু হয় হুলস্থুল। এরিমধ্যে আরো দুইটি পেট্রোলিয়াম কোম্পানী ও ঘোষণা দেয়। সাথে সাথেই গাড়ী মালিকরা সবাই তাদের গাড়ী ফুল লোড করতে ব্যস্ত হয়ে যান। কিন্তু বিধিবাম পেট্রোল পাম্পের মালিকরা আর এক হাত এগিয়ে তারাও ঘোষণা দেয় ৩০ পাউন্ডের বেশি কেউ জ্বালানী কিনতে পারবে না একসাথে। কিন্ত মুদ্দাকথা হলো জ্বালানী তেলের সাপ্লাই মেইন ডিপো থেকে পেট্রোল পাম্পে না আসার কারণে মনে হচ্ছে জ্বালানি তেল সংকট। উল্লেখ্যে ইতিপূর্বে এধরনের সংকট সুপার মার্কেট ও ফাস্ট ফুড সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রেও হয়েছিল সেখানেও এই সরকার সুন্দরভাবে সমাধান করেছে।
এদিকে গতকাল বৃটেনের জ্বালানী সেক্রেটারি ঘোষণা দেন- “দেশে জ্বালানী তেলের কোন সংকট নেই” সংকট লরি ড্রাইভারদের। প্রায় ১ লাখ লরি ড্রাইভারের সংকটে বৃটেন। তবে এই সংকট সমাধানে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে প্রথমেই সরকার আর্মি লরি ড্রাইভারদের স্টান্ডবাই রেখেছেন, অস্থায়ীভাবে লরি ড্রাইভারদের ভিসা ব্যবস্থা সহজ করা হয়েছে এছাড়া আরো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বর্তমান কনজারভেটিভ সরকার।
উল্লেখ্য ব্রেক্সিটের কারণে ইউরিপিয়ান লরি ড্রাইভাররা তাদের নিজ দেশে চলে যায়। কেউ কেউ নতুন কাজ খোঁজে নেয়, তাই সাময়িক এই সংকটে পড়ছে। কেউ কেউ এখানে রাজনৈতিক কোন উদ্দ্যেশ্য আছে কিনা তা নিয়ে ও আলোচনা করছেন। কারন হিসেবে দেখছে কয়েকমাস পূর্বে একটি ইউরোপিয়ান দেশ এদেশ থেকে লরি তাদের দেশে ঢুকতে দেয়নি। তারপরে অনেক আলোচনার পরে সমস্যার সমাধান করেছিল সারা বিশ্বে করোনাকালীন সময়ে একটা মডেল দেশ বৃটেনের কনজারভেটিভ সরকার। এমনকি বর্তমান সরকার ব্রেক্সিট করতে গিয়ে বৃটেনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এর বিরোধীতা করেছিল, তাই হয়ত সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এমনটা হতে পারে কেউ কেউ ভাবছে। তবে এমন নাও হতে পারে অনেকেই মনে করেন।
গতকাল আমিও বার্মিংহামের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প ঘুরে আসি কিছু কিছু পাম্পে জ্বালানী নাই বলে সাইন লাগিয়ে রেখেছে বেশ কিছু পাম্পে দেখেছি গাড়ীর লম্বা লাইন। সমস্যা সমাধান হওয়া শুরু হয়ে গেছে তবে হতাশ না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা।
কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on জ্বলানী তেল নয়, লরি ড্রাইভার সংকটে বৃটেন