৩১ জানুয়ারি ২০১৭
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রবাসী যাত্রীদের হয়রানি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সিলেটের সিনিয়র আইনজীবি সৈয়দ মহসিন আহমদ গত ৩১ জানুয়ারী সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরুর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। ৩৮৫/৪০৬/৪২০/৫০৬ দন্ড বিধি ধারায় করা এ মামলায় বিজ্ঞ ম্যাজিস্টেট সমন ইস্যু করেছেন এবং শুনানীর জন্য পরবর্তি তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী ২ মার্চ।
উল্লেখ্য গত ১৯ জানুয়ারি সিলেট ওসমানি বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন সিলেট শহরের চৌকিদেখী ২০৩/৬ ইসলাম মঞ্জিলের বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসি আফিকুল ইসলাম, শফিক মিয়া ও তার স্ত্রী আছিয়া। এডভোকেট সৈয়দ মহসিন আহমদ তার লন্ডন প্রবাসী এই তিন আত্মিয়কে লন্ডনের উদ্দেশ্যে বিদায় জানাতে ডমেস্টিক ফ্লাইটযোগে সিলেট বিমানবন্দর থেকে ঢাকা যেতে সকাল এগারোটায় ওসমানী বিমান বন্দরে যান। বিমানন্দেরর লাগেজ কাউন্টারে প্রবাসীর তিন লাগেজে অতিরিক্ত ৩০ কেজি ওজন থাকায় কেজি প্রতি ২৫০০ টাকা দাবি করে প্রথমে ৫০ হাজার পরবর্তীতে ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২৪০০ টাকার রশিদ প্রদান করেন। এতে প্রতিবাদ করলে অবৈধ পণ্য আছে বলে ফাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বলে মামলায় উল্লেখ আছে ।
মামলায় সিলেট বাংলাদেশ বিমানের লাগেজ সুপার ভাইজার আব্দুল আজিজ ছাড়াও আসামিরা হচ্ছেন- ওসমানী বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার ওমর হায়াত, সিলেট মহানগর সিটিএসবি পুলিশের বেলায়েত হোসেন ও ওসমানী বিমানবন্দরের লাগেজ ইনচার্জ হেদায়ত উল্লাহ।
বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানির ঘটনা নিত্য-নৈমত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়রানি ও নানা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে প্রবাসীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে মুষ্টিমেয় অসৎ কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ মহসিন আহমদ নিজে বাদী হয়ে জনস্বার্থে এই মামলা দায়ের করেছেন। এসময় প্রায় চল্লিশ জন আইনজীবি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলা দায়ের এবং বিজ্ঞ ম্যাজিস্টেট সমন জারী করায় প্রবাসীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on লন্ডন প্রবাসীদের হয়রানির অভিযোগে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা