২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শুক্রবার, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি।
২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শুক্রবার, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি।

ইরান ও সৌদি আরবকে জোড়া লাগাতে পারবেন ইমরান!

তীব্র বৈরি দুই দেশ সৌদি আরব ও ইরান। তাদের মধ্যে বার বার সৃষ্টি হচ্ছে যুদ্ধাবস্থা। এমন দুটি দেশকে আলোচনার এক টেবিলে বসানো এবং তাদের মধ্যকার বিভেদ ভুলে ভাই-ভাই সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরই মধ্যে তিনি ১৩ই অক্টোবর ইরান সফর করেছেন। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার এই ইতিবাচক সাড়া নিয়ে তার যাওয়ার কথা সৌদি আরবে। যদি তিনি এই দুই দেশের বরফ শীতল সম্পর্ককে গলাতে পারেন তাহলে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিকে পরিণত হওয়া ইমরান খান কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বড় একটি সফলতা লাভ করবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

এই প্রচেষ্টাকে মধ্যস্থতা বলতে চান না ইমরান খান। তিনি একে ইংরেজিতে বলছেন ‘ফ্যাসিলেটেটর’। যার অর্থ কঠিন কিছুকে সহজকারী। দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে তিনি এই কাজ করতে চান। রোববার ইরান সফরে সে দেশের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ইমরান খান। এ সময় তিনি বলেন, অতীতে সৌদি আরব ও ইরানকে আপ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। আবারও তারা ভ্রাতৃত্বসুলভ এই দুটি দেশকে তাদের কঠোর মতপার্থক্য দূর করে সম্পর্ক সহজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে তার দেশ। তিনি আরো বলেন, ইস্যুটি জটিল। তবে আলোচনার মধ্য দিয়ে সেই জটিলতা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। তবে এই উদ্যোগ একান্তই পাকিস্তানের নিজস্ব।

ইমরান খান আরো পরিষ্কার করে বলেন, পাকিস্তানের ভূমিকা মেডিয়েটর বা মধ্যস্থতাকারী নয়। পাকিস্তানের ভূমিকা হবে ফ্যাসিলেটেটর বা সম্পর্ক সহজকারীর। কারণ, প্রত্যেকেরই উচিত তার অঞ্চলে সংঘাত চলতে না দেয়া। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনাকে অত্যন্ত উৎসাহপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন। এই উৎসাহ নিয়ে মঙ্গলবার যাচ্ছেন সৌদি আরবে। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও ইরানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ভ্রাতৃত্বসুলভ গভীর সম্পর্ক রয়েছে পাকিস্তানের। এ দুটি দেশ পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদেরকে প্রয়োজনের সময় সহায়তা করেছে পাকিস্তান। ইমরান খান বলেন, এ জন্য কারো উচিত হবে না ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সংঘাত প্রত্যাশা করা। এই দুটি দেশের মধ্যকার সংঘাত শুধু পুরো অঞ্চলকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে এমন নয়। একই সঙ্গে তা ক্ষতিগ্রস্ত করবে উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও। এতে বিশ্বে দরিদ্রের সংখ্যা বাড়বে। তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে। তেল কিনতে অধিক অর্থ ব্যয়ের কারণে খরচ বাড়বে।

ইমরান খান আরো বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সবার দৃষ্টিভঙ্গি একই। শুধু স্বার্থান্বেষী মহল যুদ্ধ বা সংঘাত চাইতে পারে। নিউ ইয়র্ক সফরকালে ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের। তখনই তিনি তাকে ইরান বিষয়ে আলোচনা করার আহ্বান জানান। এই মিশন নিয়ে তিনি ইরান সফর করেছেন। জবাবে ইরান কি বলেছে, তাও ব্যাখ্যা করেছেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, ইরানের নেতা তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সংলাপের জন্য যতটা সহজ হওয়া প্রয়োজন ইরান তা হবে। যাতে ইরানের ওপর অবরোধ প্রত্যাহার হয় এবং পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইমরান খান বলেছেন, তার ইরান সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো এই অঞ্চলে যেকোনো যুদ্ধ এড়ানো। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানে ৭০ হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন। (কৃতজ্ঞতা: মানবজমিন)

সংবাদটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on print
Print
Share on email
Email
Share on whatsapp
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on ইরান ও সৌদি আরবকে জোড়া লাগাতে পারবেন ইমরান!

আপনি কি ভাবছেন ? আপনার মতামত লিখুুন।

এই বিভগের আরো সংবাদ

সর্বশেষ