প্রবাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ড. তোজাম্মেল (টনি) হক-এর ডক্টর অব সাইন্স সম্মাননা প্রাপ্তি
জিয়া তালুকদার:
বার্মিহাম: বার্মিংহামের আস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানজনক ডক্টর অব সাইন্স ডিগ্রি পেয়েছেন ড. তোজাম্মেল (টনি) হক। গত ৯ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ড. তোজাম্মেল টনি হক যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষস্থানীয় একজন সংগঠক। তাঁর জীবন বর্ণাঢ্য এবং কৃতিত্বে ভরপুর। তিনি একাধারে একজন শিক্ষাবিদ এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদ। ১৯৪০ সালের ফেব্রুয়ারীতে জন্ম বাংলাদেশের নওগাঁ জেলায়। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স, ঢাকা ইউিনিভিার্সিটিতে আইন বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন। নিয়েছেন বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর অব ফিলসফি ডিগ্রী। ২০০২ সালে বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে পেয়েছেন সম্মানজনক ডক্টর অব ফিলসফি ডিগ্রী।
উল্লেখ্য আস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে যুক্তরাজ্যে কোন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতদের মাঝে ড. তোজাম্মেল টনি হক প্রথমবারের মত এ সম্মাননা পেলেন। তেমনি ২০০২ সালেও বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতদের মাঝে প্রথম ডক্টর অব ফিলসফি সম্মাননা পান তিনি। এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশীদের মাঝে প্রথম এমবিএ প্রাপ্তির কৃতিত্বে¡র অধিকারীও ড. তোজাম্মেল টনি হক। তেমনি ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের মাঝে তিনি প্রথম হেড টিচার হওয়ারও গৌরবের অধিকারী।
ডক্টর অব সাইন্স সম্মাননা প্রাপ্তির পর ড. তোজাম্মেল টনি হক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন- এ সম্মাননা বার্মিংহাম ও তৎপার্শ্ববর্তি বাঙালী কমিউিনিটির জন্য অনবদ্য এক প্রাপ্তি।
জনাব তোজাম্মেল (টনি) হক ফ্রান্স এবং স্পেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন ইউনেস্কোতে। বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি আদায়ে তিনি তার সকল মেধা, যোগ্যতা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছেন।
জনাব তোজাম্মেল (টনি) হক বার্মিংহামে অবসর জীবন যাপন করলেও নিরলসভাবে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on ড. তোজাম্মেল (টনি) হক-এর ডক্টর অব সাইন্স সম্মাননা প্রাপ্তি