তিনি বলেন, আবরার হত্যা মামলায় আমাদের কাছে এজাহারভুক্ত ১৫ জন ও এজাহারের বাইরে ৪ জনসহ মোট ১৯ জন গ্রেপ্তার আছে। এর মধ্যে চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যারা জবানবন্দি দিয়েছে, তারা জানিয়েছে শিবির সন্দেহেই তাকে মারধর করা হয়। তবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য মারা হয়েছে কি না তা এখনি বলা যাচ্ছে না। বাকি আসামিদের জবানবন্দি, তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে সেটি নিশ্চিত হতে হবে। তবে ওই চারজনের জবানবন্দি থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে আবরারকে শিবির সন্দেহে মারা হয়েছে।
মনিরুল বলেন, বাকি আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আশা করছি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কাজ শেষ হবে। তারপর চার্জশিট দেয়া হবে।
আবরার হত্যা : অমিতকে বহিষ্কার ছাত্রলীগের
ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ছাত্র সংগঠনটি উল্লেখ করে, ৭ অক্টোবরের ওই ঘটনার সময় অমিত ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। ‘কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান জনকে নির্যাতনের জন্য উসকানি দিয়েছেন। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রলীগ।’
আবরারকে যে কক্ষে খুন করা হয়, সেই কক্ষের বাসিন্দা অমিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ আইনবিষয়ক সম্পাদক। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। আবরার হত্যার ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর অমিতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
ছাত্রলীগের নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৭ অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) নিহত হন।
এ ঘটনায় তার বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ১৫ জনসহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সূত্র : ইউএনবি
কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on আবরারকে শিবির সন্দেহে মারা হয়েছে : মনিরুল