তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। তবে তার আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। এসবিএস নিউজ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে তার আবেদনটি সমপ্রতি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। তিনি ফেডারেল সার্কিট কোর্টে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন।
মহসিনের বন্ধু মোহাম্মদ আহামেদ জানান, অস্ট্রেলিয়া পৌঁছানোর পর তার সঙ্গে ছয় মাস ছিলেন মহসিন। অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছিলেন তিনি। আহামেদ জানান, অস্ট্রেলিয়ায় মহসিন আর্থিক টানাটানিতেই ভুগেছেন সবচেয়ে বেশি। আমরা তাকে সাহায্য করতে পারিনি। আমরা কেবল তাকে আশা দিয়ে যেতাম যে, কোনোদিন অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগ তার পরিস্থিতি বুঝতে পারবে। আহামেদ আরো বলেন, ছয় মাস পর তার বাড়ি ছেড়ে চলে যান মহসিন। বন্ধুর ওপর নির্ভর হয়ে চলায় নিজেকে দোষী মনে করছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশে ফিরতেও ভয় পাচ্ছিলেন মহসিন।
অস্ট্রেলিয়ার শরণার্থী অ্যাকশন জোট (আরএসি) জানায়, দেশটিতে ব্রিজিং ভিসা নিয়ে বসবাসকারী শরণার্থীর সংখ্যা অনেক। কাজ করার অধিকার না থাকায় বন্ধুদের আশ্রয়ে বেঁচে আছেন অনেকে। মোহাম্মদের মৃত্যু কোনো ট্র্যাজেডি নয়। এটা অস্ট্রেলিয়া সরকারের আশ্রয় প্রার্থনা প্রক্রিয়ার সত্যতা প্রকাশ করে।
কোন মন্তব্য নেই। আপনি প্রথম মন্তব্যটি করুন। on অস্ট্রেলিয়ায় মসজিদের ভেতর বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীর আত্মহত্যা